CLICK FOR READ

Wednesday, February 29, 2012

মধুর উপকারিতা

মধুর উপকারিতার কথা লিখে শেষ করা যাবে না।মধুর নানাবিধ উপকারিতা নিম্নে প্রদত্ত হলঃ

শক্তি প্রদায়ী
মধু ভালো শক্তি প্রদায়ী খাদ্য। মধু তাপ ও শক্তির ভালো উৎস। মধু দেহে তাপ ও শক্তি জুগিয়ে শরীরকে সুস্থ রাখে।

হজমে সহায়তা
এতে যে শর্করা থাকে তা সহজেই হজম হয়। কারণ এতে যে ডেক্সট্রিন থাকে তা সরাসরি রক্তে প্রবেশ করে এবং তাৎক্ষণিকভাবে ক্রিয়া করে।পেটরোগা মানুষদের জন্য মধু বিশেষ উপকারি।
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে
মধুতে রয়েছে ভিটামিন বি-কমপ্লেক্স, ডায়রিয়া, কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।১ চা চামচ খাঁটি মধু ভোরবেলা পান করলে কোষ্ঠবদ্ধতা এবং অম্লত্ব দূর হয়।

রক্তশূন্যতায়
মধু রক্তের হিমোগ্লোবিন গঠনে সহায়তা করে বলে এটি রক্তশূন্যতায় বেশ ফলদায়ক।কারণ এতে থাকে খুব বেশি পরিমাণে কপার, লৌহ ও ম্যাঙ্গানিজ।

ফুসফুসের যাবতীয় রোগ ও শ্বাসকষ্ট নিরাময়ে
বলা হয়, ফুসফুসের যাবতীয় রোগে মধু উপকারী। যদি একজন অ্যাজমা (শ্বাসকষ্ট) রোগীর নাকের কাছে ধরে শ্বাস টেনে নেয়া হয় তাহলে সে স্বাভাবিক এবং গভীরভাবে শ্বাস টেনে নিতে পারবেন। কেউ কেউ মনে করেন, এক বছরের পুরনো মধু শ্বাসকষ্টের রোগীদের জন্য বেশ ভালো।

অনিদ্রায়
মধু অনিদ্রার ভালো ওষুধ। রাতে শোয়ার আগে এক গ্লাস পানির সঙ্গে দুই চা চামচ মধু মিশিয়ে খেলে এটি গভীর ঘুম ও সম্মোহনের কাজ করে।

যৌন দুর্বলতায়
পুরুষদের মধ্যে যাদের যৌন দুর্বলতা রয়েছে তারা যদি প্রতিদিন মধু ও ছোলা মিশিয়ে খান তাহলে বেশ উপকার পাবেন।

প্রশান্তিদায়ক পানীয়
হালকা গরম দুধের সঙ্গে মিশ্রিত মধু একটি প্রশান্তিদায়ক পানীয়।

মুখগহ্বরের স্বাস্থ্য রক্ষায়
মুখগহ্বরের স্বাস্থ্য রক্ষায় মধু ব্যবহৃত হয়। এটা দাঁতের ওপর ব্যবহার করলে দাঁতের ক্ষয়রোধ করে। দাঁতে পাথর জমাট বাঁধা রোধ করে এবং দাঁত পড়ে যাওয়াকে বিলম্বিত করে।মধু রক্তনালিকে সম্প্রসারিত করে দাঁতের মাড়ির স্বাস্থ্য রক্ষা করে। যদি মুখের ঘায়ের জন্য গর্ত হয়। এটি সেই গর্ত ভরাট করতে সাহায্য করে এবং সেখানে পুঁজ জমতে দেয় না। মধু মিশ্রিত পানি দিয়ে গড়গড়া করলে মাড়ির প্রদাহ দূর হয়।

পাকস্থলীর সুস্থতায়
মধু পাকস্থলীর কাজকে জোরালো করে এবং হজমের গোলমাল দূর করে। এর ব্যবহার হাইড্রোক্রলিক এসিড ক্ষরণ কমিয়ে দেয় বলে অরুচি, বমিভাব, বুক জ্বালা এগুলো দূর করা সম্ভব হয়।

দেহে তাপ উৎপাদনে
শীতের ঠান্ডায় এটি দেহকে গরম রাখে। এক অথবা দুই চা চামচ মধু এক কাপ ফুটানো পানির সঙ্গে খেলে শরীর ঝরঝরে ও তাজা থাকে।

পানিশূন্যতায়
ডায়রিয়া হলে এক লিটার পানিতে ৫০ মিলিলিটার মধু মিশিয়ে খেলে দেহে পানিশূন্যতা রোধ করা যায়।

দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে
চোখের জন্য ভালো।গাজরের রসের সাথে মধু মিশিয়ে খেলে দৃষ্টিশক্তি বাড়ে।

রূপচর্চায়
মেয়েদের রূপচর্চার ক্ষেত্রে মাস্ক হিসেবে মধুর ব্যবহার বেশ জনপ্রিয়। মুখের ত্বকের মসৃণতা বৃদ্ধির জন্যও মধু ব্যবহূত হয়।

ওজন কমাতে

মধুতে নেই কোনো চর্বি। মধু পেট পরিষ্কার করে,মধু ফ্যাট কমায়, ফলে ওজন কমে।

হজমে সহায়তা
মধু প্রাকৃতিকভাবেই মিষ্টি। তাই মধু সহজে হজম হয় এবং হজমে সহায়তা করে।

গলার স্বর
গলার স্বর সুন্দর ও মধুর করে।

তারুণ্য বজায় রাখতে
তারুণ্য বজায় রাখতে মধুর ভূমিকা অপরিহার্য। মধু এন্টি অক্সিডেন্ট, যা ত্বকের রং ও ত্বক সুন্দর করে। ত্বকের ভাঁজ পড়া ও বুড়িয়ে যাওয়া রোধ করে।শরীরের সামগ্রিক শক্তি বাড়ায় ও তারুণ্য বাড়ায়।

হাড় ও দাঁত গঠনে
মধুর গুরুত্বপূর্ণউপকরণ ক্যালসিয়াম। ক্যালসিয়াম দাঁত, হাড়, চুলের গোড়া শক্ত রাখে, নখের ঔজ্জ্বল্য বৃদ্ধি করে, ভঙ্গুরতা রোধ করে।

রক্তশূন্যতা ও কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে
মধুতে রয়েছে ভিটামিন বি-কমপ্লেক্স, যা রক্তশূন্যতা,কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।

আমাশয় এবং পেটের পীড়া নিরাময়ে
পুরনো আমাশয় এবং পেটের পীড়া নিরাময়সহ নানাবিধ জটিল রোগের উপকার করে থাকে।

হাঁপানি রোধে
আধা গ্রাম গুঁড়ো করা গোলমরিচের সাথে সমপরিমাণ মধু এবং আদা মেশান। দিনে অন্তত তিন বার এই মিশ্রণ খান। এটা হাঁপানি রোধে সহায়তা করে।

উচ্চ রক্তচাপ কমায়
দু চামচ মধুর সাথে এক চামচ রসুনের রস মেশান। সকাল-সন্ধ্যা দুবার এই মিশ্রণ খান। প্রতিনিয়ত এটার ব্যবহার উচ্চ রক্তচাপ কমায় ।প্রতিদিন সকালে খাবার এক ঘণ্টা আগে খাওয়া উচিত ।

রক্ত পরিষ্কারক
এক গ্লাস গরম পানির সাথে এক বা দুই চামচ মধু ও এক চামচ লেবুর রস মেশান। পেট খালি করার আগে প্রতিদিন এই মিশ্রন খান। এটা রক্ত পরিষ্কার করতে সাহায্য করে। তাছাড়া রক্তনালীগুলোও পরিষ্কার করে।

রক্ত উৎপাদনে সহায়তা
রক্ত উৎপাদনকারী উপকরণ আয়রন রয়েছে মধুতে। আয়রন রক্তের উপাদানকে (আরবিসি, ডব্লিউবিসি, প্লাটিলেট) অধিক কার্যকর ও শক্তিশালী করে।

হৃদরোগে
এক চামচ মৌরি গুঁড়োর সাথে এক বা দুই চামচ মধুর মিশ্রণ হৃদরোগের টনিক হিসেবে কাজ করে। এটা হৃদপেশিকে সবল করে এবং এর কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে।

রোগ প্রতিরোধশক্তি বাড়ায়
মধু শরীরের রোগ প্রতিরোধশক্তি বাড়ায় এবং শরীরের ভেতরে এবং বাইরে যে কোনো ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণ প্রতিহত করার ক্ষমতাও যোগান দেয়।মধুতে আছে এক ধরনের ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধকারী উপাদান, যা অনাকাঙ্ক্ষিত সংক্রমণ থেকে দেহকে রক্ষা করে।

২০০৭ সালে সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গবেষণায় দেখা যায়, সুপারবাগ ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ প্রতিরোধে মধু অত্যন্ত কার্যকর।বিভিন্ন ভাইরাসের আক্রমণে বিভিন্ন রোগ প্রায়ই দেহকে দুর্বল করে দেয়। এসব ভাইরাস প্রতিরোধে মধু খুবই কার্যকর।

জীবাণুর বিরুদ্ধে লড়াই
গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছেযে মধুতে রয়েছে উচ্চশক্তিসম্পন্ন অ্যান্টি মাইক্রোবিয়াল এজেন্ট। এই এজেন্ট শরীরের ক্ষতিকর রোগ জীবাণুর বিরুদ্ধে লড়াই করে।

ব্যথা নিরাময়ে
আপনার শরীরের জয়েন্টে জয়েন্টে ব্যথা? প্রচুর বাতের ওষুধ খেয়েও কোনো ফল পাননি? মধু খান। যে অবাঞ্ছিত রসের কারণে শরীরে বাতব্যামোর জন্ম, সে রস অপসারিত করবে মধু। আপনার বাত সেরে যাবে।

গ্যাস্ট্রিক-আলসার থেকে মুক্তি
হজম সমস্যার সমাধানেও কাজ করে মধু।একটি গবেষণায় বলা হয়েছে, গ্যাস্ট্রিক-আলসার থেকে মুক্তি পেতে একজন ব্যক্তি দিনে তিনবেলা দুই চামচ করে মধু খেতে পারে।

মধু খেলে বুদ্ধি বাড়ে
মধু যে শুধু কায়িক শক্তি বাড়ায়, তা নয়। আপনি প্রতিদিন রাতে শোয়ার আগে এক চামচ মধু খাবেন, ঘুমানোর আগে এক চামচ মধু মস্তিষ্কের কাজ সঠিকভাবে চালাতে সাহায্য করে ফলে আপনার মস্তিষ্কের শক্তি তথা বুদ্ধির জোর বেড়ে যাবে। যে কোনো কাজেকর্মে আপনার মগজ আগের চেয়ে বেশি খেলবে। যাদের মাথা খাটিয়ে কাজ করতে হয়, তাদের জন্য মধু এনে দেবে নতুন উদ্যম ও সৃষ্টিশীলতা। মনে রাখবেন, আপনি ঘুমিয়ে পড়লেও আপনার মস্তিষ্ক কিন্তু জেগে থাকে। সুতরাং তখনও তার শক্তি দরকার। আর এ শক্তির ভালোই যোগান দেয় মৌমাছির চাক ভেঙে পাওয়া এই প্রাকৃতিক মধু। আপনার লিভারে মধু থেকে পাওয়া ফলজ শর্করা বা ফ্রুকটোজ নামের পদার্থটিই মস্তিষ্কের জ্বালানি হিসেবেই কাজ করে থাকে।মানুষের লিভারে শক্তি সংরক্ষণ করে এবং রাতব্যাপি মস্তিষ্কে শক্তি সরবরাহ করে থাকে।

ঠান্ডা দূর করে মধু
মধু নিয়মিত খেলে অতিরিক্ত ঠান্ডা লাগার প্রবণতা দূর হবে। চা, কফি ও গরম দুধের সঙ্গে মধু মিশিয়ে খেলে হাঁচি, কাঁশি, জ্বর জ্বর ভাব, জ্বর, গলাব্যথায়,টনসিল, নাক দিয়ে পানি পড়া,জিহ্বার ঘা (ঠান্ডাজনিত) ভালো হয়।

সমপরিমাণ আদারস এবং মধুর মিশ্রণ কাশির সাহায্যে শ্লেষ্মা বের করে ফেলার একটি সহায়ক ওষুধ হিসেবে কাজ করে। এটি ঠান্ডা, কাশি, কণ্ঠনালির ক্ষত, নাক দিয়ে পানি পড়া ইত্যাদি থেকে দ্রুত পরিত্রাণ দেয়।

পেনসিলভানিয়া স্টেট কলেজ অব মেডিসিনের একটি গবেষণায় দেখা গেছে, এক চামচ মধু বিভিন্ন সর্দির ওষুধ থেকেও অনেক বেশি কার্যকর।মধুর এই ঠাণ্ডাজনিত রোগনিরোধী গুণের কথা বলা হয়েছে এই গবেষণায়,যা কবিরাজি মতে আগে থেকেই প্রতিষ্ঠিত।

শিশুদের বৃদ্ধি ও বিকাশে
শিশুদের ছয় মাস বয়সের পর থেকে অল্প করে (তিন-চার ফোঁটা) মধু নিয়মিত খাওয়ানো উচিত। এতে তাদের পুরো দেহের বৃদ্ধি, মানসিক বিকাশ ভালো হবে। তবে শিশুকে মধু নিয়মিত খাওয়াতে হবে ঠান্ডা ঋতুতে, গরমের সময় নয়।শিশুদের দুর্বলতা দূর করার জন্যমধুতে রয়েছে জিংক ও ফসফরাস।বড়দের তুলনায় বাড়ন্ত শিশুদের (বিশেষ করে যারা স্কুলে যায়) জন্য পরিমাণে মধু বেশি প্রয়োজন।

আয়ু বৃদ্ধি
গবেষণায় আরও দেখা গেছে, নিয়মিত মধু ও সুষম খাবারে অভ্যস্ত ব্যক্তিরা তুলনামূলকভাবে বেশি কর্মক্ষম ও নিরোগ হয়েবেঁচে থাকে।

ক্ষত সারাতে মধু
উপকারী।প্রাচীন কাল তেকে গ্রিস ও মিশরে ক্ষত সারাইয়ে মধু ব্যবহৃত হয়ে আসছে। ২০০৭-এ সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক পরীক্ষায় দেখা গেছে অধিকাংশ ক্ষত ও জখমের উপশমে মধু ডাক্তারী ড্রেসিং-এর চেয়েও বেশী কার্যকর। অগ্নিদগ্ধ ত্বকের জন্যও মধু খুব উপকারী।

আজকাল ছোটখাটো কাটাছেঁড়া সারাতেও মধুর ব্যবহারের কথা বলছেন বিজ্ঞানীরা।২০০৭ সালে অস্ট্রেলিয়ার সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক ড. শোন ব্লেয়ার বলেছেন, ক্ষতে ইনফেকশন সৃষ্টি হওয়া প্রতিরোধ করতেও ড্রেসিংয়ের সময় মধু মেশানো উচিত।

ধরুন, আপনার শরীরের কোন অংশ কেটে গেল হাতের কাছে এ্যান্টিবায়োটিক অয়েন্টমেন্ট নেই। এবার বিকল্প হিসাবে আপনার ঘরের মধুটি আপনার কাজে আসতে পারে। মধু ব্যাকটেরিয়ার আক্রামণকেও ঠেকায়। এভাবে মধু আপনার ক্ষতে ইনফেকশন হতে দেবে না এবং ক্ষতটি ও দ্রুত সারিয়ে তুলবে। মধুর এমন মধুরতম ব্যবহার আর কি হতে পারে?

কিন্তু কিভাবে ব্যবহার করবেন? এটা এবার জেনে নিন। প্রথমে ক্ষত স্থনটি ভাল করে ধুয়ে নিন। তারপর আলতো করে সেখানে পাস্তুরিত মধু লাগিয়ে নিন। এবার ব্যান্ডেজ দিয়ে জায়গাটা বেঁধে নিন। ব্যস, এভাবে দিনে তিনবার। ক্ষত সেরে যাবে।

তাছাড়া দেহের ক্ষত এবং ফোঁড়ার ওপর মধু এবং চিনি চমৎকার কাজ করে থাকে। এটি যে কোনো ব্যথাকে প্রশমিত করে এবং জীবাণুনাশকের কাজ করে।

মধু বনাম চিনি
একজন মানুষের জন্য দৈনিক যত ক্যালরি খাদ্য দরকার, তার ২২ ক্যালরি পাওয়া যায় এক চা চামচ মধুতে। একই পরিমাণ চিনিতে পাওয়া যাবে ১৫ ক্যালরি। তবু এক কেজি চিনির চেয়ে এক কেজি মধুর দাম অনেক বেশি। কারণ, চিনি যতটা সহজলভ্য মধু ততটা নয়। অবশ্য মধু চিনির চেয়ে দুষ্প্রাপ্য বলেই যে এর দাম বেশি, তাও নয়। আসলে চিনির চেয়ে মধুর দ্রব্যগুণটা মানব শরীরে অনেক বেশি সক্রিয়। তাই প্রাকৃতিকভাবে তৈরি মধুর কাছে কারখানায় তৈরি চিনি তেমন পাত্তা পায় না। খাদ্যবিজ্ঞানীরা দেখেছেন, মধুতে রয়েছে প্রচুর গ্লুকোজ আর ফলজ শর্করা। এটি দিয়ে লিভারে সঞ্চিত হয় প্রচুর পরিমাণে গ্লাইকোজেন। আর এতে শরীরে পাওয়া যায় অমিত শক্তি ও প্রাণচাঞ্চল্য।

মধুর দানাদার সমস্যা
অনেক মধু দানাদার আকার ধারণ করে। যদি কোনো মধুতে গ্লুকোজের পরিমাণ ফ্রুক্টোজের চেয়ে বেশি থাকে তখন সে মধু অতি দ্রুত দানাদার হয়। যেমন সরিষা ফুলের মধু। আবার মধুতে পর্যাপ্ত পোলেন, ধুলাবালি ও বুদবুদ থাকলে সে মধু সহজে দানাদার হয়। সাধারণত ১১ থেকে ১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় মধু জমতে পারে। তবে ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা মধু অতি দ্রুত জমতে সহায়ক। পানির পরিমাণ বেশি থাকলে মধুকে দানাদার হতে ত্বরান্বিত করবে। তবে দানাদার মধু খেতে কোনো সমস্যা নেই। দানাদার মধুকে পরোক্ষ তাপ প্রয়োগের মাধ্যমে তরল করা যায় বা কৃম মধুতে রূপান্তর করা যায়। দানাদার মধু ছয় মাসের মধ্যে ব্যবহার করা উত্তম।

সতর্কতা
মধু সব রোগের মহৌষধ হলেও একটি কথা থেকেই যায়, সেটি হলো ডায়াবেটিস রোগের ক্ষেত্রে মধু খুবই বিপজ্জনক। কারণ এটি রক্তে সরাসরি শোষিত হয় বলে সহজেই দেহের রক্ত শর্করাকে উচ্চস্তরে নিয়ে আসবে এতে কোনো সন্দেহ নেই। সুতরাং ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য মধু গ্রহণ নিষেধ।

তাছাড়া মধু সবার শরীরে গরম তৈরি করে। যেকোনো বয়সের মানুষ অধিক পুষ্টির আশায় বেশিমধু খেলে ডায়রিয়া হয়ে যাবে

Sunday, February 26, 2012

আমলকির পুষ্টি গুণ

 
আমলকি আমাদের দেশের শ্রেষ্ঠ ফলগুলোর মধ্যে একটি। আমলকি খেলে অনেক রোগের হাত থেকে নিষ্কৃতি পাওয়া যায় বা অনেক রোগ সেরে যায়। এ ফলের গুণাগুণ অমৃত সমান-তাই একে অমৃতফল বলা

হয়ে থাকে। পরিচর্যায় মায়ের মত উপকারী তাই একে ধাত্রীফলও বলা হয়। আমলকিতে পেয়ারার চেয়ে আড়াই গুণ, লেবুর চেয়ে সাড়ে চার গুণ, আমের চেয়ে ১০ গুণ, কমলার চেয়ে ১১ গুণ, আমড়ার চেয়ে ৫ গুণ সহ সব ফলের চেয়ে দ্বিগুণ থেকে ১০০ গুণ বেশি ভিটামনি সি থাকে। আমলকি দামে সস্তা। প্রতিদিন মাত্র একটি আমলকি খেয়ে আমাদের প্রতিদিনের ভিটামিন সি এর চাহিদা পূরণ করতে পারি। গাছ থেকে সংগ্রহের পর থেকে ধীরে ধীরে এর ভিটামিন সি নষ্ট হতে থাকে। তাই আমলকি অবশ্যই তাজা খেতে হবে। আমলকি শরীর ঠান্ডা রাখে, রক্ত, মাংস ও হাড়ের গঠনে ভূমিকা রাখে। শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ, পায়খানা স্বাভাবিক রাখা ও পুরুষের দেহে বীর্য বর্ধক হিসাবে কাজ করে। চোখের জন্যও আমলকি বিশেষ ভাবে উপকারী।

নিম্নে ১০০ গ্রাম আমলকিতে কি পাওয়া যায় তা  বর্ণনা করা হলো: প্রতি ১০০ গ্রাম আমলকিতে আছে পানি- ৯১.৪ গ্রাম, খনিজ -০.৭ গ্রাম, প্রোটিন - ০.৯ গ্রাম, ক্যালসিয়াম - ৩৪.০ মিগ্রা, আয়রণ - ১.২ মিগ্রা,

ভিটামিন বি১-১০.০২ মিগ্রা,

ভিটামিন বি২-২০.০৮ মিগ্রা, ভিটামিন সি-৪৬৩ মিগ্রা।

তেতুলর পুষ্টি ও গুণাগুণ


তেঁতুল বা তিন্তিড়ী হল একপ্রকার টক ফলবিশেষ। হৃদরোগসহ বিভিন্ন রোগে খুব উপকারী তেঁতুল বসন্ত-কালের ফল হলেও সারা বছর পাওয়া যায়। অনেকেরই ধারণা তেঁতুল খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর এবং রক্ত পানি হয়। এ ধারণা সম্পূর্ণ ভুল। তেঁতুলে রয়েছে প্রচুর ভেষজ ও পুষ্টিগুণ। তেঁতুল দেহে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে এবং হৃদরোগীদের জন্য খুব উপকারী। রক্তে কোলস্টেরল কমানোর কাজে তেঁতুলের আধুনিক ব্যবহার হচ্ছে। ভেষজবিদদের মতে, নিয়মিত তেঁতুল খেলে শরীরে সহজে মেদ জমতে পারে না। এতে টারটারিক এসিড থাকায় খাবার হজমে সহায়তা করে। পেটের বায়ু, হাত-পা জ্বালায় তেঁতুলের শরবত খুব উপকারী। তাই সরাসরি তেঁতুল না খেয়ে তিন-চার দানা পুরনো তেঁতুলের এক কাপ রসের সঙ্গে চিনি বা লবণ মিশিয়ে খাওয়া ভালো। যাদের পেটে গ্যাস জমে তারা রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে তেঁতুলের শবরত খেলে পেটে গ্যাস জমা থেকে রক্ষা পাবেন। হাঁপানি ও দাঁত ব্যথায় তেঁতুলগাছের ছাল চুর্ণের রস খেলে উপশম পাওয়া যায়।

তেঁতুল দিয়ে কবিরাজি, আয়ুর্বেদীয়, হোমিও, এলোপ্যাথিক ওষুধ তৈরি করা হয়। স্কার্ভি রোগ, কোষ্ঠবদ্ধতা, শরীর জ্বালা করাসহ প্রভৃতি রোগে তেঁতুলের শরবত খুব উপকারী। তেঁতুল রক্তের কোলেস্টেরল কমায়। মেদ-ভুঁড়ি কমায়। পেটে গ্যাস হলে তেঁতুলের শরবত খেলে ভালো হয়। পাকা তেঁতুল কফ ও বায়ুনাশক, খিদে বাড়ায় ও উষ্ণবীর্য হয়। তেঁতুল গাছের বাকল, ফুল, পাতা, বীজ ও ফল সবই ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়।

তেঁতুল বীজের শাঁস পুরনো পেটের অসুখে উপকারী। তেঁতুল পাতার রস কৃমিনাশক ও চোখ ওঠা সারায়। মুখে ঘা বা ক্ষত হলে পাকা তেঁতুল জলে কুলকুচি করলে উপকার পাওয়া যায়। বুক ধড়ফড় করা, মাথা ঘোরানো ও রক্তের প্রকোপে তেঁতুল উপকারী। কাঁচা তেঁতুল বায়ুনাশক। কাঁচা তেঁতুল গরম করে আঘাত পাওয়া স্থানে প্রলেপ দিলে ব্যথা সারে। তেঁতুল গাছের শুকনো বাকলের প্রলেপ ক্ষত স্থানে লাগালে ক্ষত সারে। পুরনো তেঁতুল খেলে আমাশয়, কোষ্ঠবদ্ধতা ও পেট গরমে উপকার পাওয়া যায়। পুরনো তেঁতুল খেলে কাশি সারে।পাকা তেঁতুলে মোট খনিজ পদার্থ সব ফলের চেয়ে অনেক বেশি।

খাদ্যশক্তির পরিমাণ নারিকেল ও খেজুর ছাড়া সব ফলের চেয়ে বেশি। ক্যালসিয়ামের পরিমাণ সব ফলের চেয়ে ৫ থেকে ১৭ গুণ বেশি। আয়রণের পরিমাণ নারিকেল ছাড়া সব ফলের চেয়ে ৫ থেকে ২০ গুণ বেশি। অন্যান্য পুষ্টি উপাদান স্বাভাবিক পরিমাণে আছে। প্রতি ১০০ গ্রাম পাকা তেঁতুলে মোট খনিজ পদার্থ ২.৯ গ্রাম, খাদ্য-শক্তি ২৮৩ কিলোক্যালরি, আমিষ ৩.১ গ্রাম, চর্বি ০.১ গ্রাম, শর্করা ৬৬.৪ গ্রাম, ক্যালসিয়াম ১৭০ মিলিগ্রাম, আয়রন ১০.৯ মিলিগ্রাম, ক্যারোটিন ৬০ মাইক্রোগ্রাম ও ভিটামিন সি ৩ মিলিগ্রাম।

কচুর পুষ্টি ও গুণাগুণ

নানা ধরনের কচু পাওয়া যায় আমাদের দেশে। পানি কচু, মুখি কচু, কচুর লতি, ওলকচু প্রভৃতি। তবে পুষ্টি ও গুণাগুণের দিক থেকে কচু এবং কচুপাতা অনেক উপকারী। বিশেষজ্ঞদের মতে, কালো কচুর ডাঁটা এবং পাতায় পুষ্টির মোটামুটি সব উপাদানই থাকে। কচুতে আয়রন, মিনারেল এবং সব ধরনের ভিটামিন বিভিন্ন পরিমাণে থাকে।
 
কেন খাবেন
*প্রতি দিনের খাদ্য তালিকায় কচুর ডাঁটা বা কচু রাখা যেতে পারে। গরমে শরীর থেকে পানি বেরিয়ে যায়। কচুর ডাঁটায় প্রচুর পানি থাকে।
*এতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, ফোলেট, থায়োমিনও রয়েছে।
*কচু রক্তের কোলেস্টরলের মাত্রা কমায়।*কোলন ক্যান্সার ও ব্রেস্ট ক্যান্সার প্রতিরোধে কাজ করে।*শিশুদের কচুশাক বেশি করে তেল দিয়ে খাওয়ানো ভালো। এতে রাতকানা রোগের আশঙ্কা কমে।*কচুতে অক্সলেট রয়েছে। তাই রান্নার পরও কোনো কোনো ক্ষেত্রে গলা খানিকটা চুলকায়। তাই কচুর তরকারি খাওয়ার সময় কিছুটা লেবুর রস মিশিয়ে নিন।
কেন খাবেন না
*অনেক ক্ষেত্রে কচু খেলে শরীরে অ্যালার্জি এবং হজমে সমস্যা দেখা দেয়। এ ক্ষেত্রে যাদের এ ধরনের সমস্যা রয়েছে তারা কচু খাবেন না।
 ড. খালেদা ইসলাম, অধ্যাপক, পুষ্টি ও খাদ্য বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় 

Saturday, February 25, 2012

রসুনের ভেষজ গুণাবলী


আধুনিক সাম্প্রতিক সময়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বিশ্ববিদ্যালয় ও গবেষণাগারে পরিচালিত অসংখ্য গবেষণা হতে রসুনের বিবিধ ঔষধি গুণাবলী সম্বন্ধে তথ্য পাওয়া গেেছ। নিম্নে রসুনের কতিপয় ঔষধি গুণ বৈজ্ঞানিক তত্ত্ব ও যুক্তিসহ ব্যাখ্যা করা হলো:
রক্তের কোলেস্টেরেল নিয়ন্ত্রণ করে : রসুন লাইপোপ্রোটিন-এর অক্সিডেশান কমায় এবং এলডিএল (LDL)-কে অক্সিডেশান প্রতিরোধ ক্ষমতাসম্পন্ন করার মাধ্যমে রক্তের কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করে। রসুন কোষকলাও রক্তরসের মধ্যে লিপিড (চর্বি)-এর ভারসাম্যতা রক্ষা করে এবং যকৃত (লিভার) এর ইপোক্সিডেজ এনজাইমের কার্যকারিতা বন্ধ করার মাধ্যমে রক্তরসে কোলেস্টেরলের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করে।
এথেরোস্কে¬রোসিস নিয়ন্ত্রণ করে : রসুন এলডিএল (LDL)-এর অক্সিডেশান কমায় ফলে ধমনীতে এথেরোস্কে¬রোসিস সৃষ্টি হয় না এবং এথেরোস্কে¬রোসিসের ফলে সৃষ্ট প্লাক (আস্তরণ) এর পরিমাণ হ্রাস পায়। গবেষণা হতে জানা যায় যে, এথেরোস্কে¬রোসিস নিয়ন্ত্রণে রসুন পুরুষ ও মহিলা উভয়ের ক্ষেত্রেই কার্যকর।
রক্তণালীতে অণুচক্রিকার জমাটবদ্ধতা নিয়ন্ত্রণ করে : রসুন রক্তনালীর অভ্যন্তরে অণুচক্রিকা কোসেল জমাটবদ্ধতা (থ্রম্বাস) প্রতিহত করে। ফলে রক্তের প্রবাহ ঠিক থাকে। আর এক্ষেত্রে রসুনের এলিসিন নামক উপাদানটি কার্যকর ভূমিকা পালন করে।
উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে : রসুন রক্তনালীতে জমে থাকা কোলেস্টেরল কমায় এবং নতুন করে জমতে বাধা দেয়। ফলে রক্তনালী প্রশস্ত হয় এবং রক্তের স্বাভাবিক প্রবাহ হয়। এভাবে রসুন উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে।
হৃদরোগ প্রতিরোধে : রক্তের অতিরিক্ত কোলেস্টেরল, এথেরোস্কে¬রোসিস ও রক্তনালীতে অণুচক্রিকার জমাটবদ্ধতা (থ্রম্বোসিস) হৃদরোগ ও হার্ট এ্যাটাকের মূল কারণ। গবেষণা হতে জানা যায় যে, রসুন রক্তের কোলেস্টেরল কমায়, এথেরোস্কে¬রোসিস ও থ্রম্বোসিস প্রতিহত করে। তাই হৃদরোগ নিয়ন্ত্রণ ও হার্ট এ্যাটাক প্রতিরোধে রসুন এক অসাধারণ ভেষজ।
পাকস্থলী ও মলাশয়ের ক্যান্সার প্রতিরোধে : পাকস্থলী ও মলাশয়ের ক্যান্সার প্রতিরোধে রসুন খুবই কার্যকর। সাম্প্রতিক সময়ের গবেষণা হতে জানা যায় যে, যারা প্রতিদিন দেড় থেকে দুই কোয়া করে রসুন খায় তাদের পাকস্থলীর ক্যান্সার ও মলাশয়ের ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি যথাক্রমে ৪৭% ও ৪০% কমে যায়। গবেষণা হতে আরও জানা যায় যে, রসুন ক্যান্সার কোষসমূহের অনিয়ন্ত্রিত বৃদ্ধি রোধ করার মাধ্যমে ক্যান্সার নিয়ন্ত্রণ করে থাকে।
আলসার প্রতিরোধ : Helicobacter pylori নামক এক প্রকার গ্রাম নেগেটিভ ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণে আমাদের অন্ত্রে গ্যাস্ট্রাইটিস ও পেপটিক আলসারের সৃষ্টি হয়। সাম্প্রতিক সময়ের গবেষণা হতে জানা যায় যে, রসুনে বিদ্যমান ডাই এলাইল সালফাইড ও ডাই এলাইল ডাই সালফাইড-এর রয়েছে ব্যাকটেরিয়া ধ্বংসকারী ক্ষমতা। তাই এই ব্যাকটেরিয়াজনিত গ্যাস্ট্রাইটিস ও আলসার নিরাময়ে রসুন খুবই কার্যকর।
জীবাণু প্রতিরোধে : রসুনের রয়েছে জীবাণু (ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া, ছত্রাক প্রভৃতি) প্রতিরোধী ক্ষমতা। শুধু তাই নয়, যেসব জীবাণু এন্টিবায়োটিক র‌্যাজিস্ট্যান্ট (প্রতিরোধক্ষম) হয়ে গেছে সেসব জীবাণু ধ্বংসে রসুন খুবই কার্যকর।
পুরনো জ্বরে : যখন পুরানো জ্বর ছাড়ে না, বাড়ে-কমে কিন্তু একটু থেকেই যায়, তখন ৫/৭ ফোঁটা রসুনের রসের সাথে আধা কাপ গাওয়া ঘি মিশিয়ে খেলে ২/৪ দিনের মধ্যেই জ্বর কমে যাবে।
শরীর ক্ষয়ে : খায় দায় শুকিয়ে যায়, সেক্ষেত্রে ১/২ কোয়া রসুন বেটে এক বা আধা পোয়া দুধে পাক করে সেটা খেতে হয়। এটাতে ক্ষয় বন্ধ হবে; অধিকন্তু আস্তে আস্তে ওজন বেড়ে যাবে।
শুক্র তারল্যে : অল্প গরম দুধের সাথে ২/১ কোয়া রসুন বাটা খেলে শুক্রতারল্য হয় না; অস্থির বল বাড়ে; অস্থির ক্ষয় হ্রাস পায় : শরীরের নিত্যক্ষয় রুদ্ধ হয়।
পেটের বায়ুতে : এক্ষেত্রে ঠাণ্ডা পানিতে ২/৪ ফোঁটা রসুনের রস মিশিয়ে খেলে উপকার পাওয়া যায়।
বাতের যন্ত্রণায় : গাওয়া ঘিয়ের সঙ্গে ২/৩ কোয়া রসুন বাটা অথবা ৫/৭ ফোঁটা রস মিশিয়ে খেলে উপকার হয়।
মাথা ধরায় : সর্দি হয় না অথচ মাথা ধরে (বায়ুর জন্য), এরকম হলে ২/১ ফোঁটা রসুনের রসের নস্যি নিলে উপকার পাওয়া যায়।
ক্ষত নিরাময়ে : ক্ষতের পঁচা অংশ কিছুতেই যেতে চায় না, এরূপ হলে রসুন বাটা ক্ষতে লাগালে ক্ষত নিরাময় হয়ে যাবে।


ডা. আলমগীর মতি,
চেয়ারম্যান, মডার্ণ হারবাল গ্রুপ।

লাল শাকের পুষ্টিগুণ

ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ শাকের মধ্যে লালশাক অন্যতম। লালশাকে ক্যালসিয়ামের পরিমাণ অন্য শাকের তুলনায় অনেক বেশি। ১০০ গ্রাম লাল শাকে ক্যালসিয়ামের পরিমাণ রয়েছে ৩৭৪ মিঃ গ্রাঃ যেখানে পুঁই শাকে ১৬৪ মিঃ গ্রাঃ, মূলা শাকে ২৭.৯০ মিঃ গ্রাঃ, পালং শাকে ৭৯ মিঃ গ্রাঃ, ডাঁটা শাকে ৮০ মিঃ গ্রাঃ, বেগুনে ২৬ মিঃ গ্রাঃ, বাঁধা কপিতে ৩০.৫ মিঃ গ্রাঃ। ক্যালসিয়াম বাদে লাল শাকে অন্য যে সমস্ত পুষ্টি উপাদান রয়েছে তা হলো- শর্করা ৪.৯৬ মিঃ গ্রাঃ, প্রোটিন ৫.৩৪ মিঃ গ্রাঃ, স্নেহ ০.১৪ মিঃ গ্রাঃ, ভিটামিন বি১ ০.১০ মিঃ গ্রাঃ, ভিটামিন বি২ ০.১৩ মিঃ গ্রাঃ, ভিটামিন সি ৪২.৯০ মিঃ গ্রাঃ, ক্যারোটিন ১১.৯৪ মিঃ গ্রাঃ, অন্যান্য খনিজ ১.০৬ মিঃ গ্রাঃ, খাদ্য শক্তি ৪৩ কিলোক্যালরি। ক্যালসিয়াম দেহের জন্য অত্যন্ত দরকারি উপাদান বিশেষ করে দাঁত এবং হাঁড় গঠনে। গর্ভবতী এবং প্রসূতি মাতাদের দৈনিক ক্যালসিয়ামের চাহিদা অনেক বেশি প্রায় ১৫০০-২০০০ মিঃ গ্রাঃ। এ সময় ক্যালসিয়ামের অভাব হলে মা ও শিশুর নানা রকম সমস্যা দেখা দেয়। বাড়ন্ত শিশুর ক্যালসিয়ামের অভাব হলে দাঁত ও হাঁড়ের গঠন ঠিকমতো হয় না ফলে শিশুর দৈহিক গঠন দুর্বল হয় এবং হাঁটাও বিলম্ব হয়। ছোটবেলা থেকেই শিশুদের লাল শাক খাওয়ার অভ্যাস করা দরকার। ক্যালসিয়ামের অভাবে শিশুদের রিকেটস এবং বয়স্কদের অস্টিও পোরেসিস রোগ হয়। সুতরাং ক্যালসিয়ামের চাহিদা পূরণে অন্যান্য ক্যালসিয়ামযুক্ত খাদ্যের পাশাপাশি সস্তা এবং সহজলভ্য লাল শাক খাওয়া উচিত।


ডাঃ জ্যোৎস্না মাহবুব খান
মুক্তাগাছা, ময়মনসিংহ

কফের চিকিৎসায় পুদিনা পাতা

কফ-কাশিতে আমরা সাধারণত এক্সপেক্টোরেন্ট জাতীয় ওষুধ খেয়ে থাকি। এক্সপেক্টোরেন্টের কাজ হলো গলা থেকে কফ বের করে দেয়া। কিন্তু এর একটা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও রয়েছে। এসব ওষুধ খেলে ঘুম ঘুম ভাব হয়। তাই এর বিকল্প হিসেবে আপনি পুদিনা পাতার সাহায্য নিতে পারেন। গরম পানিতে সামান্য পরিমাণ পুদিনা পাতা সেদ্ধ করে পান করুন। পুদিনা পাতা এক্সপেক্টোরেন্টের কাজ করবে। বোনাস হিসেবে আপনি পেতে পারেন আরো একটি বড় ধরনের উপকার। আর তা হলো পুদিনা পাতা আপনার উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করবে। দীর্ঘ জীবনের রহস্য শতবর্ষী মানুষ নিয়ে আমাদের কৌতূহলের অন্ত নেই। কী করলে এমন ভূষণ্ডির কাকের মতো বেঁচে থাকা যায় তা নিয়ে বিজ্ঞানীরাও নিরন্তর গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন। রোগমুক্ত দীর্ঘ জীবন কে না চায়। কিন্তু কী সেই গোপন রহস্য। এই ব্যাপারটিই খতিয়ে দেখার জন্য ইতালিতে ক’জন শতবর্ষীর ওপর একটি সমীক্ষা চালানো হয়েছে। সমীক্ষায় দেখা গেছে, এই শতবর্ষী মানুষ সাধারণের চেয়ে দ্বিগুণ শাকসবজি (!) খেতেন। যদিও দীর্ঘ জীবনের মূলে রয়েছে জিন এবং অন্যান্য ফ্যাক্টরের ভূমিকা, তারপরও শাকসবজি খাওয়ার ব্যাপারটাও মানুষকে নতুন করে ভাবাচ্ছে। তাহলে দেখুন শাকসবজির কত ক্ষমতা!
**************************
ডা. সুমাইয়া নাসরীন
দৈনিক নয়া দিগন্ত, ২৫ মে ২০০৮

Saturday, February 18, 2012

HSC EXAMINTATION ROUTINE-2012

HSC-ROUTINE-2012

Wednesday, February 8, 2012

HSC Bangla-2 paper Qustion(2003-2011)

Qustion(2003-2011)


HSC Bangla-2 paper Qustion(2003-2011)

Monday, February 6, 2012

H.S.C Examination suggestions (2012 )English 1st & 2nd Paper(great suggestions)

English 1st & 2nd Paper(great suggestions)
 H.S.C Examination suggestions (2012 )English 1st & 2nd Paper

HSC Suggestion ( Dhaka board) Physics-1st paper & 2nd Paper (BAF SHEEN) 2012

Add caption
Collect by-

‡gv: kvn Rvgvj

mnKvix Aa¨vcK (c`v_©weÁvb wefvM )

we G Gd kvnxb K‡jR XvKv

‡dvb: 01670 856105, 9125630, 9115369

HSC Suggestion ( Dhaka board) Physics-1st paper
























HSC Suggestion ( Dhaka board) Physics-2nd paper

Sunday, February 5, 2012

Chaptar (2.10.1) Cotton Fibres - the king of fibres


Cotton is a soft staple fibre that grown in a form known as a boll around the seeds of the cotton plant, a shrub native to tropical and subtropical regions.

What Was "King Cotton"?

When in 1793 American inventor Eli Whitney (1765–1825) developed the cotton gin, a machine that separates raw cotton fibers from their seeds, he made it possible for cotton to become the major crop of the American South, that is, "king cotton." In one day, a single cotton gin operated by one person could clean as much cotton as fifty slaves did in a day's time. With the gin, cotton growing became a major industry. Just before Whitney invented the cotton gin, British-born inventor Samuel Slater (1768–1835) built the first successful water-powered cotton-thread spinning mill in Pawtucket, Rhode Island. Slater's mill and the factories that produced woven cloth increased the demand for cotton fibers. To meet the demand, growers in the southern states of Alabama, Mississippi, Georgia, and South Carolina stepped up cotton production. Cotton's importance to the livelihoods of southerners earned it the nickname "king cotton."
Further Information: Gordon, John Steele. "King Cotton." American Heritage. September, 1992, pp. 18–19; Keeler, Patricia A., and Francis X. McCall, Jr. Unraveling Fibers. New York: Macmillan, 1995; Simonds, Christopher. Samuel Slater's Mill and the Industrial Revolution. Parsippany, N.J.: Silver Burdett, 1990.

Cotton

cotton bollCotton today is the most used textile fiber in the world. Its current market share is 56 percent for all fibers used for apparel and home furnishings and sold in the U.S. Another contribution is attributed to nonwoven textiles and personal care items. The earliest evidence of using cotton is from India and the date assigned to this fabric is 3000 B.C. There were also excavations of cotton fabrics of comparable age in Southern America. Cotton cultivation first spread from India to Egypt, China and the South Pacific.
Cotton is a soft, staple fiber that grows in a form known as a boll around the seeds of the cotton plant, a shrub native to tropical and subtropical regions around the world, including the Americas, India and Africa. The fiber most often is spun into yarn or thread and used to make a soft, breathable textile, which is the most widely used natural-fiber cloth in clothing today. The English name derives from the Arabic (al) qutn قُطْن , which began to be used circa 1400.
Each cotton fiber is composed of concentric layers. The cuticle layer on the fiber itself is separable from the fiber and consists of wax and pectin materials.

Properties of Cotton


Properties of Cotton

cotton bollCotton is a soft fibre that grows around the seeds of the cotton plant. Cotton fibre grows in the seed pod or boll of the cotton plant. Each fibre is a single elongated cell that is flat twisted and ribbon like with a wide inner hollow (lumen).
  • 90% cellulose, 6% moisture and the remainder fats and impurities
  • The outer surface is covered with a protective wax like coating which gives fibre an adhesive quality
Cotton is a natural fiber that is grown in countries around the world. It is a crop that requires adequate moisture and heat to mature and produce quality fibers. Cotton growing tends to be in warmer climates. Cotton is a true commodity in the world markets and supply and demand truly affect prices of raw cotton.
Cotton fibers are mainly made up of cellulose. Cellulose does not form unless temperatures are over 70 °F (21 °C). The cotton fibers are attached to the seeds inside the boll
of the plant. There are usually six or seven seeds in a boll and up to 20,000 f ibers attached to each seed. The length of these fibers (also called staples) is the main determining factor in the quality of the cotton. In general, the longer the staple grows the higher the quality of the cotton. Staple lengths are divided into short, medium, and long
(and extra long, in some cases):
  • Short staple cotton is between 3/8” to 15/16” (.95cm to 2.4cm) in length
  • Medium staple cotton is between 1” to 1-1/8” (2.54cm to 2.86cm) in length
  • Long staple cotton is between 1-3/16” to 2-1/2” (3cm to 6.35cm) in length

Properties of Cotton Products

  • Comfortable – there are no surface characteristics of cotton that make it irritating to human skin. Cotton feels good against skin; it has a soft hand.
  • Hydrophilic – cotton has a natural affinity for water – it attracts moisture away from your body.
  • Moisture passes freely through cotton – aiding in evaporation and cooling
  • Good Heat Conductivity – Cotton allows heat to dissipate making it a wonderful fiber to maintain a comfortable sleeping temperature.
  • Strong and abrasion resistance
  • The unfavorable attributes of cotton include its lack of resiliency (cotton tends to wrinkle) and its lack of luster (colors are usually dull).

Properties of Cotton Fiber

  • It has 8% moisture regain
  • The cellulose is arranged in a way that gives cotton unique properties of strength, durability, and absorbency
  • It is fresh, crisp, comfortable, absorbent, flexible, has no pilling problems and has good resistance to alkalis
  • It has poor wrinkle resistance, shrinkage, poor acid resistance, less abrasion resistance, susceptible to damage by moths and mildew, needs lots of maintenance and stains are difficult to remove
  • Its fibre length ranges from ½ inches to 2inches
  • It has 10%increase in strength when wet.
  • It has a flat twisted tube shap

Long Staple Cotton

In general, long staple cottons are needed to spin the yarns needed in the weaving of the finer down proof cotton fabrics.
Long staple cottons are considered to be finer quality because they can be spun into finer yarns and those finer yarns can be woven in to softer, smoother, stronger, and more lustrous fabrics. Long staple cottons make stronger yarns, especially in fine yarns, as there are less fibers in a given length of yarn and the longer fibers provide more points of contact between the fibers when they are twisted together in the spinning process. Common areas that grow long staple cottons in the world would be Egypt, Sudan, the United States (Pima cottons grown in the west and southwest are long staple cottons), and Western China. The two most widely known long staple cottons are Egyptian cotton and Pima cotton. Pima cottons are grown mainly in the United States, but also in Peru, Israel, and Australia.
The fibers are sent to a textile mill where carding machines turn the fibers into cotton yarn. The yarns are woven into cloth that is comfortable and easy to wash but does wrinkle easily. Cotton fabric will shrink about 3% when washed unless pre-treated to resist shrinking.
Cotton is prized for its comfort, easy care, and affordability and is ideal for clothing, bedding, towels, and furnishings.
  

Classing Cotton

Cotton buyers judge cotton on the basis of samples cut from the bales. Skilled cotton classers grade or "class" the cotton according to standards established by the US Department of Agriculture such as cleanliness, degree of whiteness, length of fiber, and fiber strength.
The classers pull a sample. They discard most of the cotton until just a pinch of well-aligned fibers remains. They measure the length of the fibers, referred to as staple fibers. Longer staple fibers are higher-grade cotton and are sold at higher prices. Long staples range from 1.1 inches to 1.4 inches long.
  

Harvesting

cotton stipper machineCotton was once harvested by hand, often by slave labor or tenant farmers. As recently as 1965, over a fourth of the U.S. cotton crop was picked by hand. Today, harvesting cotton is highly mechanized.
Harvesting machines called strippers and pickers efficiently remove the cotton, while leaving the plants undisturbed. Spindle harvester, also called a picker, has drums with spindles that pull the cotton from the boll in one or two rows at a time. Even a one row mechanical picker can do the work formerly done by 40 hand pickers.
In stripper harvesting, the stripper moves along rows of plants, passing them between revolving rollers or brushes that pull off the cotton. Strippers also pull twigs and leaves with the cotton.
Cotton gins separate the fibers, called lint, from the seeds. After ginning, the cotton goes to the bale press that packs it into 480 pound bales about the size of a large refrigerator.
  

Cotton Ginning

cotton baleFrom the field, seed cotton moves to nearby gins for separation of lint and seed. The cotton first goes through dryers to reduce moisture content and then through cleaning equipment to remove foreign matter. These operations facilitate processing and improve fiber quality. The cotton is then air conveyed to gin stands where revolving circular saws pull the lint through closely spaced ribs that prevent the seed from passing through. The lint is removed from the saw teeth by air blasts or rotating brushes, and then compressed into bales weighing approximately 500 pounds. Cotton is then moved to a warehouse for storage until it is shipped to a textile mill for use.
A typical gin will process about 12 bales per hour, while some of today’s more modern gins may process as many as 60 bales an hour.
Ginning Process diagram
  

Ginning Process Flowchart

Ginning Process Flowchart



Cotton Harvest

 

 Picking Cotton

 

Chaptar (2.10) Natural Cellulosic Seed Fibres

Cellulose is the substance that makes up most of a plant's cell walls. Since it is made by all plants, it is probably the most abundant organic compound on Earth.Many varieties of plant fibres exist such as hairs (cotton, kapok), fibre-sheafs of dicoltylic plants or vessel-sheafs of monocotylic plants (e.g. flax, hemp, jute and ramie), and hard fibres (sisal,henequen and coir), not to mention the large number of fibres obtained from trees. Byproducts of agricultural crops are being considered as

Seed/Fruit-hair Fibers

seed fibers


The seeds and fruits of plants are often attached to hairs or fibers or encased in a husk that may be fibrous. These fibers are cellulosic based and of commercial importance, especially cotton, the most important natural textile fiber.






Major Seed/Fruit-hair fibers

cotton plant

Cotton

Cotton is a soft, staple fiber that grows in a form known as a boll around the seeds of the cotton plant, a shrub native to tropical and subtropical regions around the world, including the Americas, India and Africa. The fiber most often is spun into yarn or thread and used to make a soft, breathable textile, which is the most widely used natural-fiber cloth in clothing today. The English name derives from the Arabic (al) qutn ????? , which began to be used circa 1400.
Each cotton fiber is composed of concentric layers. The cuticle layer on the fiber itself is separable from the fiber and consists of wax and pectin materials.
coconut husk

Coir

This fiber, obtained from husks of the fruit of the coconut palm, Cocos nucifera (palm family, Arecaceae), is mainly produced in India and Sri Lanka. The fruits are broken by hand or machine, and the fiber extracted from the broken husks from which the coconut has been removed for the copra. The husks are retted in rivers, and the fiber separated by hand beating with sticks or by a decortication machine. The fibers are washed, dried, and hackled, and used in upholstery, cordage, fabrics, mats, and brushes.
kapok tree with fruit

Kapok

Kapok fiber is obtained from the seed pods of the kapok tree, Ceiba pentandra, of the Kapok tree family (Bombacaceae) which is indigenous to Africa and southeast Asia; the fiber is produced mainly in Java. The tree grows to a height of 35 m. The seeds are contained in capsules or pods that are picked and broken open with mallets. The fioss is dried and the fiber is separated by hand or mechanically. A nondrying oil is produced from the seeds with properties similar to cottonseed oil. The fiber is exceedingly light, with a circular cross section, thin walls, and a wide lumen. Kapok fibers are moisture resistant, buoyant, resilient, soft, and brittle, but not suitable for spinning. The traditional uses were in life jackets, sleeping bags, insulation, and upholstery; however, synthetics have replaced most of the applications as filling material and now kapok is mainly used for life preservers. Kapok-filled life preservers can support up to three times the weight of the preserver and do not become waterlogged.









Thursday, February 2, 2012

Chaptar (2.9 )Properties of Vegetable/Plant/Cellulosic fibres

Chemically, cotton is the purest vegetable fibre, containing >90% cellulose with little or no lignin.

Vegetable/Cellulosic Fiber Properties

cotton bollChemically, cotton is the purest vegetable fiber, containing >90% cellulose with little or no lignin. The other fibers contain 40–75% cellulose, depending on processing. Boiled and bleached fiax and degummed ramie may contain >95% cellulose. Kenaf and jute contain higher contents of lignin, which contributes to their stiff- ness. Although the cellulose contents are fairly uniform, the other components, eg, hemicelluloses, pectins, extractives, and lignin vary widely without obvious pattern. These differences may characterize specific fibers. Except for the seed-hair fibers, the vegetable fibers of bast or leaf origins are multicelled and are used as strands.
In contrast to the bast fibers, leaf fibers are not readily broken down into their ultimate cells. The ultimate cells are composites of micro- fibrils, which, in turn, are comprised of groups of parallel cellulose chains. Bast and leaf fibers are stronger (higher tensile strength and modulus of elasticity) but lower in elongation (extensibility) than cotton. Vegetable fibers are stiffer but less tough than synthetic fibers. Kapok and coir are relatively low in strength; kapok is known for its buoyancy.

Chemical Composition of Vegetable Fibers, wt %

Fiber Cellulose Hemicellulose Pectins Lignin Extractives
Bast Fibers
Flax 71.2 18.6 2.0 2.2 6.0
Hemp 74.9 17.9 0.9 3.7 3.1
Jute 71.5 13.4 0.2 13.1 1.8
Kenaf 63.0 18.0 - 17.0 2.0
Ramie 76.2 14.6 2.1 0.7 6.4
Leaf Fibers
Abaca 70.1 21.8 0.6 5.7 1.8
Phormium 71.3 - - - -
Sisal 73.1 13.3 0.9 11.0 1.6
Seed-hair Fibers
Coir 43.0 0.1 - 45.0 -
Cotton 92.9 2.6 2.6 - 1.9
Kapok 64.0 23.0 23.0 13.0 -

 

Dimensions of Ultimate Fibers and Strands


Ultimate fiber Cell cross-section Fiber strand
Fiber Length,mm Diameter,µm Shape Diameter,µm Length,cm Width,mm
Bast Fibers
Chinese Jute 2-6.5 7.33



Flax 4-69 8-31 Polygonal 8.8-16.1 25-120 0.04-0.62
Hemp 5-55 16 Polygonal 13.1-23.6 100-400 0.5-5
Jute 0.7-6 15-25 Polygonal-Oval 12.3-18.6 150-360
Kenaf 2-11 13-33 Cylindrical
200-400
Ramie 60-250 16-120 Hexagonal-Oval 6.2-32.4 10-180
Sunn 2-11 13-64 Irregular 13.6-24.6 108-216
Nettle 4-70 20-70
50-50

Leaf Fibers
Abaca 2-12 6-40 Oval-Round 14-20 150-360 0.01-0.28
Cantala


13.8-16.4

Caroa 2-10 3-13
3.2-8.2

Henequen 1.5-4 8.3-33.2
11.6-22.2

Istle
9.6-16
1.2-13.4 30-75
Mauritius 1.3-6 15-32 Cylindrical
124-210
Phormium 2-11 5-25 Round 10-3-12.5 150-240
Sansevieria 1-7 13-40



Sisal 0.8-7.5 8-48 Cylindrical 11-16 60-120 0.1-0.5
Seed-hair Fibers
Coir 0.2-1 6.24


1
Cotton 10-50 12-25 Circular Elliptical
1.5-5.6 0.012-0.025
Kapok 15-30 10-30 Round
1.5-3 0.03-0.036
Other Fibers
Broom Root

Others
25-40
  

Mechanical Properties of Vegetable Fibers

Fiber Fineness km/kg Tensile Strength, km Elongation % Modulus of Elasticity, N/tex Modulus of repture, mN/tex
Bast (soft) fibers
Flax 2470 2-3 18-20 8-9
Hemp 139 38-62 1-6 18-22 6-9
Jute 489 25-53 1.5 17-18 2.7-3
Kenaf 180 24 2.7
Ramie 32-67 4.0 14-16 11
Urena 342 16 1.9
Leaf (hard) fibers
Abaca 32 32-69 2-4.5 6
Cantala 58 30
Henequen 32 20-42 3.5-5
Istle 34 22-27 4.8
Phormium 38 26
Sansevieria 118 43 4.0
Sisal 40 36-45 2-3 25-26 7-8
Seed-har fibers
Coir 18 16 4.3 16
Kapok 16-30 1.2 13 10

















































Chaptar (2.8) Natural Cellulose Fibres

 

 Natures own fibres

Cellulose is a fibrous material of plant origin and the basis of all natural and man-made cellulosic fibres. The natural cellulosic fibres include cotton, flax, hemp, jute, and ramie. Cellulose is a polymeric sugar polysaccharide) made up of repeating 1,4-8-an hydro glucose units connected to each other by 8-ether linkages. Strong intermolecular forces between chains, coupled with the high linearity of the cellulose molecule, account for the crystalline nature of cellulosic fibres.

Cellulosic Fibers

cotton fiberThe natural fibers are vegetable, animal, or mineral in origin. Vegetable fibers, as the name implies, are derived from plants. The principal chemical component in plants is cellulose, and therefore they are also referred to as cellulosic fibers. The fibers are usually bound by a natural phenolic polymer, lignin, which also is frequently present in the cell wall of the fiber; thus vegetable fibers are also often referred to as lignocellulosic fibers, except for cotton, which does not contain lignin.
Cellulose is a fibrous material of plant Origin and the basis of all natural and man-made cellulosic fibers. The natural cellulosic fibers include cotton, flax, hemp, jute, and ramie. The major man-made cellulosic fiber is rayon, a fiber produced by regeneration of dissolved forms of cellulose.
Cellulose is a polymeric sugar (polysaccharide) made up of repeating 1,4-8-an hydroglucose units connected to each other by 8-ether linkages.
The long 1inear chains of cellulose permit the hydroxyl functional groups on each anhydro glucose unit to interact with hydroxyl groups on adjacent chains through hydrogen bonding and van der Waal s forces. These strong intermolecular forces between chains, coupled with the high linearity of the cellulose molecule, account for the crystalline nature of cellulosic fibers.

Classification of Vegetable Fibers

Vegetable fibers are classified according to their source in plants as follows: (1) the bast or stem fibers, which form the fibrous bundles in the inner bark (phloem or bast) of the plant stems, are often referred to as soft fibers for textile use; (2) the leaf fibers, which run lengthwise through the leaves of monocotyledonous plants, are also referred to as hard fibers; and (3) the seed-hair fibers, the source of cotton, which is the most important vegetable fiber. There are >250,000 species of higher plants; however, only a very limited number of species have been exploited for commercial uses (<0.1%).
The fibers in bast and leaf fiber plants are integral with the plant structure, providing strength and support. In bast fiber plants, the fibers are next to the outer bark in the bast or phloem and serve to strengthen the stems of these reed-like plants. The fibers are in strands running the length of the stem or between joints. To separate the strands, the natural gum binding them must be removed. This operation is called retting (controlled rotting). For most uses, particularly for textiles, this long composite-type strand fiber is used directly; however, when such fiber strands are pulped by chemical means the strand is broken down into much shorter and finer fibers, the ultimate fibers.
The long leaf-fibers contribute strength to the leaves of certain nonwoody, monocotyledonous plants. They extend longitudinally the full length of the leaf and are buried in tissues of a parenchymatous nature. The fibers found nearest the leaf surface are the strongest. The fibers are separated from the pulp tissue by scraping because there is little bonding between fiber and pulp; this operation is called decortication. Leaf fiber strands are also multicelled in structure. Ancient humans used cordage in fishing, trapping, and transport, and in fabrics for clothing. Rope and cord making started in Paleolithic times, as seen in cave drawings. Rope, cords, and fabrics were made from reeds and grasses in ancient Egypt (400 BC). Ropes, boats, sails, and mats were made from palm leaf fibers and papyrus stalks and writing surfaces, known as papyrus, from the pith section. Jute, fiax, ramie, sedges, rushes, and reeds have long been used for fabrics and baskets. Jute was cultivated in India in ancient times and used for spinning and weaving. The first true paper is believed to have been made in southeastern China in the second century AD from old rags (bast fibers) of hemp and ramie and later from the bast fiber of the mulberry tree.
World markets for vegetable fibers have been steadily declining in recent years, mainly as a result of substitution with synthetic materials. Jute has traditionally been one of the principal bast fibers (tonnage basis) sold on the world market; however, the precipitous decline in jute exports by India indicate the decreasing market demand for this fiber that has been vitally important to the economies of India (West Bengal), Bangladesh, and Pakistan.
  

Seed Fibers

cotton fiber Cotton is the most commonly used natural cellulosic fiber. Cotton fibers grow from the seeds in the boll (seedpod). Each boll contains seven or eight seeds, and each seed may have up to 20,000 fibers growing from it.
coir fiber Coir is from the fibrous mass between the outer shell and husk of coconuts.  It is a stiff fiber.  It is usually used to make highly durable indoor and outdoor mats, rugs, and tiles.
kapok fruit Kapok fiber is from the seed of the Java or Indian kapok tree.  The fiber is soft, lightweight, and hollow.  It breaks down easily and it is difficult to spin into yarns. It is used as fiberfill and as the stuffing for pillows. It used to be used as a stuffing for lifejackets and the mattresses on cruise ships because it is very buoyant.






 

Bast Fibers

flax plant Flax is one of the oldest textile fibers, but its use has declined since the invention of power spinning for cotton. Flax fabric is linen, although the word linen is now often used to refer to table, bed, and bath fabrics made from other materials
ramie plant Ramie fibers are 4 to 6 inches long. The fibers are whiter and softer than flax. Ramie does not retain dyes well unless it is dry-cleaned. Ramie is strong for a natural fiber, but it lacks resiliency, elasticity, and elongation potential. It is resistant to mildew, insects, and shrinkage. It is used for apparel, window treatments, ropes, paper, and table and bed linens
hemp plant Hemp is similar to flax. The fibers range in length from 3 to 15 feet. Hemp production is illegal in the U.S. Hemp has a low environmental impact; it does not require pesticides. It produces 250% more fiber than cotton and 600% more fiber than flax on the same amount of land. Hemp plants can be used to extract zinc and mercury pollutants from soil. Hemp is used for ropes, apparel, and paper. Potheads are willing to pay inflated prices for hemp apparel because it is related to the marijuana plant
jute plant Jute is one of the cheapest textile fibers, and one of the weakest cellulosic fibers. Jute has poor elasticity, elongation, sunlight resistance, mildew resistance, and colorfastness. It is used to produce sugar and coffee bagging, carpet backing, rope, and wall coverings. Burlap is made from jute.
  

Leaf Fibers

pina plants Piña fibers are from the leaves of the pineapple plant. It is used to make lightweight, sheer, stiff fabrics for apparel, bags, and table linens.  It is also used to make mats.
abaca plant Abaca is from a member of the banana tree family. The fibers are coarse and very long (up to 15 feet). It is a strong, durable, and flexible fiber used for ropes, floor mats, table linens, apparel, and wicker furniture.
  

Natural Cellulosic Fiber Characteristics

Fiber Properties
Ramie
ramie plant Ramie is one of the oldest fibre crops, having been used for at least six thousand years. It is also known as china grass.
  • Ramie requires chemical processing to de-gum the fibre.
  • It is fine absorbent, quick drying fibre, is slightly stiff and possesses high natural lustre.
  • Its plant height is 2.5m and its strength is eight times more than cotton
Hemp
hemp plant Depending on the processing used to remove the fiber from the stem, the hemp naturally may be creamy white, brown, gray, black or green.
  • It is yellowish brown fibre
  • Hemp fibers can be 3 to 15 feet long, running the length of the plant
  • Characteristics of hemp fibre are its superior strength and durability, resistance to ultraviolet light and mold, comfort and good absorbancy
Jute
jute plant Jute is one of the cheapest natural fibres and is second only to cotton in amount produced and variety of uses. Jute fibres are composed primarily of the plant materials cellulose and lignin.
  • Jute is a long, soft, shiny vegetable fibre that can be spun into coarse, strong threads.
  • It is thus a ligno -cellulosic fibre that is partially a textile fibre and partially wood.
  • The plant grows up to a height of 2.5m and its fibre length is about 2m.
  • It is generally used in geo textiles.
  • It has a good resistance to micro organisms and insects.
  • It has low wet strength, low elongation and inexpensive to produce  
Coir
coir husk Fibre mechanically extracted from dry mature coconut husk after soaking.
  • It is long, hard and strong fibre but with lower softness, lower water absorption capacity, and shorter life than long retted fibre.
Kapok
kapok fruits Kapok fiber is a silky cotton-like substance that surrounds the seeds in the pods of the ceiba tree.
  • It can support as much as 30 times its own weight in water and loses only 10 percent of buoyancy over a 30-day period.
  • It is eight times lighter than cotton
  • It is extremely used as a thermal-insulator.
  • It is also lightweight, non-allergic, non-toxic, resistant to rot and odorless.
  • Since it is inelastic and too fragile, it can't be spun.
  • It has outstanding characteristics of lightness, impermeability, thermal-isolation and eco- naturality.

Natural Fibres (excerpt)



Natural fibre